শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৪:৪০ অপরাহ্ন

News Headline :
পার্বত্যবাসীর কল্যাণে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী মানিকছড়ি পাহাড়ে মানুষের পানি সংকট  সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে ২দিনব্যাপী প্রোটিন অলিম্পিয়াড ও স্কুল ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত রক্তদাতারা মানবিক গুণের অধিকারী’-কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর দেশপ্রেম না থাকলে কৃষিখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সম্ভব হতো না- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী অরাজকতা, নাশকতা স্বাধীন সার্বভৌম দেশে কাম্য হতে পারে না- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সৌহার্দ্র ও সম্প্রীতির বন্ধনে আগলে রেখেছেন- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

বাল্য বিবাহ একজন মেয়ের জীবনকে পঙ্গু করে দেয়

দৈনিক পার্বত্য কণ্ঠস্বর
  • আপডেট টাইম : বুধবার ১ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৭৫৯ বার পঠিত

খাগড়াছড়ি প্রতিবেদকঃ
বাল্য বিবাহ একজন মেয়ের জীবনকে পঙ্গু করে দেয়। মেয়েরা শিক্ষিত হলে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে এবং মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন থেকে মুক্তি পাবে। তাই ক্লাবগুলোতে দক্ষতামুলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণের পাশাপাশি শিক্ষার প্রতি জোর দেওয়ার আহবান জানান খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু” আজ ০১ ডিসেম্বর ২০২১ সকাল ১১ ঘটিকার সময় বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, জাবারাং কল্যাণ সমিতি, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা এবং খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয়ের হল রুমে “আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের ভবিষ্যৎ” প্রকল্প কার্যক্রমের বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনের (স্টেকহোল্ডারদের) অংশগ্রহণে প্রকল্পের বিগত বছরের কার্যক্রমের অগ্রগতি ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক শেফালিকা ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব নুপুর কান্তি দাশ, সিভিল সার্জন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা, জনাব টিটন খীসা, নির্বাহী কর্মকর্তা, পার্বত্য জেলা পরিষদ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা, জনাব এমরান হোসেন চৌধুরী, উপ-পরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা, জনাব সঞ্জয় মঞ্জুমদার, প্রজেক্ট ম্যানেজার, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, ঢাকা। জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক জনাব মথুরা বিকাশ ত্রিপুরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনাব রিপন চাকমা, নির্বাহী পরিচালক, তৃনমুল উন্নয়ন সংস্থা। এরপর প্রকল্পের কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ
নারী প্রগতি সংঘের মাস্টার ট্রেইনার জনাব নবলেশ^র দেওয়ান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, হিটুশি চাকমা, মোনঘর কিশোরী ক্লাবের সদস্য, নয়াপাড়া, মাইসছড়ি ইউনিয়ন, জনাব সীমা দেওয়ান, ভাইস চেয়ারম্যান, দিঘীনালা উপজেলা পরিষদ, জনাব, সুপন চাকমা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, মহাছড়ি উপজেলা, ডাঃ ধনিষ্টা চাকমা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মহালছড়ি উপজেলা, ডাঃ তনয় তালুকদার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পন কর্মকর্তা, দিঘীনালা উপজেলা, জনাব নিতুল মনি চাকমা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, গুইমারা উপজেলা, জনাব নিতু দেওয়ান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, দিঘীনালা ও মহালছড়ি উপজেলা, জনাব, রেদাক মারমা, চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সিন্দুকছড়ি ইউনিয়ন, গুইমারা উপজেলা ও বাবু প্রজ্ঞান জ্যোতি চাকমা, চেয়ারম্যান, দিঘীনালা ইউনিয়ন পরিষদ, দিঘীনালা উপজেলা। সভায় কার্বারী, হেডম্যান, জনপ্রতিনিধি ও সরকারী লাইন ডিপাটমেন্টের কর্মকর্তাবৃন্দসহ প্রায় ৬০জন উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, কিশোরীদের মাসিক স্বাস্থ্যসেবা ও যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা এবং নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধের জন্য সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করলে সেবাগুলো নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। “বাল্য বিবাহ মেয়েদের জীবন পঙ্গু করে ফেলে’বলেন প্রধান অতিথি। তাই বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের জন্য সবাইকে আরো বেশি জোর দিয়ে কাজ করার আহবান জানান। জাবারাং, তৃনমুল ও কেএমকেএস কর্তৃক পরিচালিত ৯০টি কিশোরী ক্লাবে কিশোরীদের দক্ষতাবৃদ্ধির জন্য আগামী অর্থ বছরের ৯০ টি সেলাই মেশিন দেয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়াও কিশোরী ও নারীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য জেলা পরিষদ বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এই কর্মসূচিগুলোতে কিশোরী ও নারীরা যেন অংশগ্রহণ করে সেই জন্য প্রচারনা করার জন্য তিনি এনজিওদের প্রতি আহবান করেন। বিশেষ অতিথি বক্তব্যে সিভিল সার্জন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপ=পরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর বলেন প্রত্যেক উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কৈশোর বান্ধব কনার স্থাপন করা হয়েছে। কিশোরীদের সেবা দেওয়ার জন্য এই কেন্দ্রগুলো সব সয় খোলা রয়েছে এবং সেখানে একজন দায়িত্বরত ভিজিটর রয়েছে। সেখানে কিশোরীদের জন্য সবধরনে উপকরণ দেয়া আছে (প্যাড ও ঔষধ)। সেখানে কিশোরীদের নিয়ে আসার জন্য সংশ্লিস্ট এনজিওদেরকে অনুরোধ করেন। এছাড়াও অন্যান্য বক্তারা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য সেবা ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা এবং কিশোরীদের শিক্ষার জন্য সবাই যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতা করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত প্রকাশ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.


এ জাতীয় আরো খবর..