শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৬:০৮ অপরাহ্ন

News Headline :
পার্বত্যবাসীর কল্যাণে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী মানিকছড়ি পাহাড়ে মানুষের পানি সংকট  সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে ২দিনব্যাপী প্রোটিন অলিম্পিয়াড ও স্কুল ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত রক্তদাতারা মানবিক গুণের অধিকারী’-কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর দেশপ্রেম না থাকলে কৃষিখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সম্ভব হতো না- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী অরাজকতা, নাশকতা স্বাধীন সার্বভৌম দেশে কাম্য হতে পারে না- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সৌহার্দ্র ও সম্প্রীতির বন্ধনে আগলে রেখেছেন- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

বরগুনায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা-ছেলে গ্রেফতার

দৈনিক পার্বত্য কণ্ঠস্বর
  • আপডেট টাইম : সোমবার ৩ জানুয়ারি, ২০২২
  • ৬৫৮ বার পঠিত

মংচিন থান, বরগুনা প্রতিবেদক।।
বরগুনায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পিতৃহীন ধর্ষিতা কিশোরী (১৫) বর্তমানে ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা। কিশোরীর মা বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন।
বরগুনা থানার ওসি একেএম তারিকুল ইসলাম মামলা দায়ের ও আসামী গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামীরা হচ্ছে, বরগুনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে আরিফ।
বরগুনা পৌরসভার পশ্চিম বরগুনার বাসিন্ধা কিশোরীর মা জানান, তার স্বামী নেই। বাঁচার তাগিদে প্রতিদিন তরকারী বাজারে সবজি বিক্রি করতে হয়। তার কিশোরী মেয়ে একাই বাসায় থাকতো। প্রধান আসামী নুরুল ইসলামের তার মেয়ের বয়সি একটি মেয়ে আছে। ওই মেয়ের সাথে তার মেয়ে প্রায়ই নুরুল ইসলামের বাসায় থাকতো।
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী জানান, নুরুল ইসলামকে সে খালু ডাকতো। তার বাসায় গেলে নুরুল ইসলাম তাকে আদর করার নামে জড়িয়ে ধরতো। মাঝে মধ্যে ভাল খাবার দিতো। এক পর্যায়ে বিয়ে করার কথা বলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এভাবে কয়েক মাস ধরে নুরুল ইসলাম কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে। কিশোরী আরও জানান, নুরুল ইসলামের ছেলে আরিফ একদিন তাকে জড়িয়ে ধরে বলে তোর এবং বাবার কুকর্মের কথা আমি জানি। লোকজনের কাছে তাদের কুকর্মের কথা বলে দেবার ভয় দেখিয়ে আরিফ তাকে ধর্ষণ করেছে। এভাবে আরিফ তাকে আরও দুইদিন ধর্ষণ করে।
বাবা-ছেলের ধর্ষণের শিকার হয়ে কিশোরী ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পরলে লোকজন জেনে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করলে তিনি বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরে বরগুনা থানার অফিসার ওসি বিষয়টি আমলে নিয়ে একটি টিম পাঠিয়ে সোমার রাত সাড়ে ১২টায় প্রথমে নুর ইসলামকে থানায় নিয়ে যায়। এর আধা ঘন্টা পরে তার ছেলে আরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বরগুনা থানার ওসি একেএম তারিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.


এ জাতীয় আরো খবর..