শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন

News Headline :
পার্বত্যবাসীর কল্যাণে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী মানিকছড়ি পাহাড়ে মানুষের পানি সংকট  সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে ২দিনব্যাপী প্রোটিন অলিম্পিয়াড ও স্কুল ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত রক্তদাতারা মানবিক গুণের অধিকারী’-কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর দেশপ্রেম না থাকলে কৃষিখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সম্ভব হতো না- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী অরাজকতা, নাশকতা স্বাধীন সার্বভৌম দেশে কাম্য হতে পারে না- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সৌহার্দ্র ও সম্প্রীতির বন্ধনে আগলে রেখেছেন- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

রাঙ্গামাটিতে বরকলে বেসরকারি প্রা:বি: নিয়ে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার!

দৈনিক পার্বত্য কণ্ঠস্বর
  • আপডেট টাইম : সোমবার ২৯ মে, ২০২৩
  • ২৫৩ বার পঠিত

নিউজ ডেস্ক: রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলায় সরকারি উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে বাঁধা সৃষ্টি, বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি এবং সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে চলছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক।
চক্রান্ত কারীরা মুঠোফোনে এবং সরেজমিনে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে গিয়ে তারা এসব বানোয়াত ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন বলে তাঁরা বলেছেন।
বরকল উপজেলায় একটি স্বার্থান্বেসী মহল ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকসহ যোগসাজস করে তাদের ব্যাক্তি স্বার্থ চরিতার্থ ও হাসিল করার জন্য উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে কতিপয় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের বিভ্রান্ত করে এবং তাদেরকে মিথ্যা, ভূল, বানোয়াট এবং অসত্য তথ্য দিয়ে বরকলের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগকে নিয়ে মিথ্যা, ভূল এবং বিভ্রান্টিকর সংবাদ পরিবেশন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা।
নিকসান্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: হারুন রশীদ বলেছে, সম্প্রতি স্থানীয় এক সংবাদকর্মী উড়াল মনি চাকমা ওরফে হিমেল চাকমা তার অনলাইন পত্রিকায় বরকল উপজেলাকে নিয়ে “রাঙ্গামাটিতে ২৩টি বেসরকারী প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা এখনও বই পায়নি” শিরনামে একটি মিথ্যা ও অসত্য রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। যাতে করে বর্তমান সরকারের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হয়েছে এবং বরকল উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগেরও দুর্নাম হয়েছে বহুগুণে।
উড়াল মনি কেমনে শুধুমাত্র একটি স্কুল জাক্কোবাজেই বেপ্রাবি পরিদর্শন করে ২৩টি স্কুলের রিপোর্ট করলেন তা সম্পূর্ণ প্রশ্ন থেকে যায় বলেছেন হারুন।
বই না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কোন স্কুলে যদি বই না পেয়ে থাকে তাহলে সেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এতদিন কি করছিলেন, এতদিন কেন শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করেনাই। সেক্ষেত্রে তাঁর গাফিলিতি ও ব্যর্থটা রয়েছে। আর বেসরকারী স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা যদি অনলাইনে এন্ট্রি করে বইয়েরে চাহিদা না দেয় তাহলে তারা কেমনে বই পাবে। আসলে এসব বই না পাওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুইনা বলেছেন হারুন।
জানা যায়, রামুক্যাছড়ি বেসরকারি প্রা:বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও একজন ইউপি মেম্বার রসিক চাকমা, বেসরকারি ঠিকাদার সোহাগ চাকমা ও বেসরকারী সংস্থা (এনজিও) সুবর্ণভূমি ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর মানবাশীষ চাকমাসহ কিছু লোক এসব ষড়যন্ত্র করছেন একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে।
এ ব্যাপারে বরকল মডেল স:প্রা: বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপক কর্মকার বলেছেন, যে কোন বেসরকারী স্কুলে বইয়ের চাহিদা দিয়ে অনলাইনে এন্ট্রি করতে হয় এবং প্রতি বছর মার্চ মাসের মধ্যেই পরবর্তী বছরে বই পাওয়ার জন্য এ কাজটি করতে হয়। তারা যদি সরকারী নিয়ম অনুসরন করে চাহিদা দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে কিভাবে বই পাবে বলেছেন দীপক।
প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ভাইবোনছড়া স:প্রা:বি: প্রধান শিক্ষক বিমলেন্দু চাকমা বলেছেন, ২৩টি বেসরকারি স্কুলের বই পায়নি যে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে সেটি আসলে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। কারন বেসরকারী স্কুলে যে বই দেওয়া হয়েছে তার রেকর্ড বই বিতরণ রেজিস্টার খাতায় প্রত্যেকের স্বাক্ষর রয়েছে। তবে হয়তো শতবাক পায়নি সেটি হতে পারে।
মরাঠেগা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুপন চাকমা জানান, তাঁর স্কুলে মোট ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। সে ৪৫ জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য বই পেয়েছেন। বাকীদের পুরোনো বই দিয়ে মিটিয়ে দিয়েছেন তিনি।
প্রধান শিক্ষক হারুন রশীদ আরো জানিয়েছেন, রিপোর্টার উড়াল মনি চাকমা (হিমেল) প্রথমে তাঁর কাছ থেকে স্কুলের রুটিন সংস্কার কাজের বিষয়ে এবং কত টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে সে বিষয়ে জানতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি তা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
জানা যায়, সম্প্রতি কিছু হলুদ সাংবাদিক নামে-বেনামে ও বিভিন্ন মোবাইল ফোন নাম্বার থেকে স্কুল সংস্কারের বরাদ্দ আসছে বলে চাঁদা দাবী করছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ইউপিএও) কাছ থেকে। যার অডিও রেকর্ডও রয়েছে ইউপিএও’র কাছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আব্দুস সালাম বলেছেন, বই বিতরণ রেজিস্টার দেখলে বুঝা যায় যে, বছরের শুরুতেই উপজেলা শিক্ষ অফিসার গোডাউনের উদ্বৃত্ত বই থেকে প্রতিটি বেসরকারী স্কুলে বই প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বছরের শুরুতেই বেসরকারি প্রধান শিক্ষকরা শিক্ষা বিভাগের পিইএমইএস (প্রাইমারী এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিষ্টেম) এর নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের তথ্যদিয়ে চাহিদা এন্ট্রি করতে হয়। কিন্তু তারা তা না করলে কোত্থেকে বই পাবে। এমনকি শিক্ষা অফিসের মাসিক সমন্বয় সভায়ও বেসরকারী শিক্ষকরা উপস্থিত থাকেননা। শিক্ষা অফিসের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করেননা তারা।
শিক্ষা অফিসার জানান, এসমস্ত বেসরকারি স্কুলের বাস্তব ভিত্তিক জনস্বার্থে কোন ভূমিকা নেই। হাতে গোনা শুধুমাত্র ৫/৭ টি স্কুলের অস্থিত্ব রয়েছে। বাকী সব বিদ্যালয় গুলি নাম সর্বোচ্ছ। সেগুলিতে নিয়মিত পাঠদান হয়না

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.


এ জাতীয় আরো খবর..